অন্ধকারের ইন্টারনেট : অজানা সব তথ্য - শুভজিৎ দে
আমাদের অনেক কিছুই অজানা, আর সেই অজানাকে জানার জন্য আমাদের কাছে আছে মাত্র তিনটি উপায়, 1. ভ্রমণ 2. ইন্টারনেট 3. বই। আর এই ইন্টারনেটে কত সব তথ্য। তবে এই ইন্টারনেটের আমরা কেবল আলোর দিকটি জানি, অন্ধকার সম্পর্কে আমরা সেভাবে অবগত নই, আজকের লেখা সেই অন্ধকার নেই।
চিত্রঋণ - Wikipedia
Google সার্চ ইঞ্জিনে কিছু লিখলেই বেড়িয়ে আসে বহু তথ্যসূত্র, সেই তথ্য গুলি যে ডোমেইন এর মাধ্যমে দেওয়া হয় তার শুরু হয়, ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) দিয়ে, এটি হচ্ছে একটি তথ্যভাণ্ডার যেখানে আমার আপনার খোঁজকরা সাধারণ তথ্য পাওয়া যায়। ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) 1989 সালে টিম বার্নাস লি'র দ্বারা আবিষ্কৃত হয়, কোনো কিছুতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজে প্রবেশ করার প্রথমিক ধাপ হিসেবে। এই ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েবের ওয়েবসাইট গুলোকে বিভিন্ন হাইপার লিংক এর সাথে সংযুক্তিকরণ করা হয়, যেখানে ব্যবহারকারীগণ বিভিন্ন ডোমেইন এর সুবিধায় সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন।
এই ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েবের তিনটি স্তর, 1. সারফেস ওয়েব, যা আমি আপনি ব্যবহার করি, সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন এখানে ব্যবহৃত হয়। 2. ডিপ ওয়েব, এটি ইন্টারনেটের একটি অদৃশ্য অংশ, যা সাধারণ সারফেসে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় না। 3. ডার্ক ওয়েব ইন্টারনেটের আর একটি অন্যতম অদৃশ্য অংশ। ডার্ক ওয়েব, ব্যবহারকারীদের ও ওয়েবসাইট মালিকদের পরিচয় লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করে, এটি অনেকটা সুইস ব্যাংকে রাখা কালো টাকার মতো। ডিপ ও ডার্ক ওয়েবে সবরকমের গোপনীয় এবং অসাধু কাজকর্ম চলে সারা বিশ্বব্যাপী। অনেকেই এগুলির নাম শুনেছেন, আবার অনেকেই এ বিষয় কিছু জানেন না। ইন্টারনেট ব্যবহার করার সাথে সাথে তার অন্ধকার দিকটিও জানা দরকার, কথায় আছে না, Dark Side is the Best Side, to Open the Another Side.
সারফেস ওয়েব
আপনারা নিশ্চই জানেন সার্চ ইঞ্জিন Google এ আসলে কী হয়! আপনি কিছু খুঁজে দেখলে Google আপনাকে কয়েক লক্ষ তথ্য দেবে, যা শেষ হবার নয়, সে একটা ফোনের তথ্য থেকে শুরু করে মহাবিশ্বের যে কোনো তথ্য। আসলে এই পৃথিবীতে Google এর প্রায় 1 Billion ওয়েবসাইট আছে, যা অগুনিত। আর এই ইন্টারনেট জগৎ হচ্ছে পৃথিবীর সবকিছু দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান সবকিছুর চালিকা শক্তি, যা শতাংশের হিসেবে মাত্র 4 (%) শতাংশ। হ্যাঁ, ঠিক পড়লেন আপনি আমি মাত্র এই চার শতাংশ ইন্টারনেটের ব্যবহারকারী যার মধ্যে আছে প্রায় 1 Billion ওয়েবসাইট, আর তার ফলে হচ্ছে এত কিছু।
ডিপ ও ডার্ক ওয়েব
ডিপ ওয়েব হচ্ছে এমন একটি জগৎ যেখানে এমন কিছু তথ্য আছে যা গুগল বা ইয়াহুর মতো সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে প্রবেশ করা জায় না। ডিপ ওয়েব সাধারণত ব্যাঙ্কিং, ক্লাউড স্টোরেজ, সরকারি তথ্য, ওয়েব মেল বা অন্যান্য পেমেন্ট পরিষেবা (বিট কয়েনে) প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। ডিপ ওয়েব বা ডিপ নেট, HTTPS প্রোটোকলের পিছনে লুকানো, ডিপ ওয়েবে প্রবেশ করতে IP (Internet Protocol) Address দরকার হয়। আর ডিপ ওয়েবের আরও গভীরতম অংশ হচ্ছে ডার্ক ওয়েব। এই ডিপ ওয়েবের মধ্যেই ডার্ক ওয়েব অবস্থান করলেও তা আদতে থাকে লুকিয়ে, যাকে সহজে পাওয়া যায় না, ইন্টারনেটের বাকি প্রায় 96(%) শতাংশ ব্যবহৃত হয় এই ডিপ ও ডার্ক ওয়েবে। ডার্ক ওয়েবে মানুষ জন নিজের আসল পরিচয় লুকিয়ে নানা রকম অসামাজিক কাজ করেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। যেমন ড্রাগ ও অস্ত্র কেনা বেচা, সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ ঘটানো, হ্যাকিং, মানুষ খুন, চোরা চালান এর ডিল, অসামাজিক ভিডিও ( জীবন্ত মানুষের দেহ থেকে অঙ্গ বের করে নেওয়া, ধর্ষণ, পৈশাচিক অত্যাচার প্রভৃতি) এখানে পাওয়া যায়। আর এই সবকিছু থাকে সারফেস ওয়েবের আড়ালে। আমরা যেমন কোনো কিছু খোঁজার জন্য সারফেস ইঞ্জিনে .com, .org, .in, এই ধরনের ডোমেইন গুলির সাহায্য নিই, ডিপ ওয়েব বা ডার্ক ওয়েবে এই সব ডোমেইন দিয়ে প্রবেশ করা যায় না। ডিপ ও ডার্ক ওয়েবে প্রবেশের জন্য আলাদা ভাবে সার্চ ইঞ্জিন প্রস্তুত করা হয়েছে, যাকে আমরা TOR (The Onion Router) এখানে Onion বা পিয়াজ শব্দটি যুক্তিসঙ্গত এই অর্থে পিয়াজের যেমন একটি আবরণ উন্মচন হবার পর নতুন একটি আবরণ এর দেখা পাওয়া যায় ঠিক তেমনই এই TOR।
এই ডিপ ও ডার্ক ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন গুলি Onion Service এর মাধ্যমে TOR এর সাথে যুক্ত হয়েছে, এবং .onion সমন্বিত লিংক এর মাধ্যমে কাজ করে চলে। আমার আপনার সাধারণ ব্রাউজারে দেখায়, সাধারণ ডোমেইন সার্ভিস লিংক যা WWW (WORLD WIDE WEB) এর সাথে যুক্ত, যা দিয়ে ভুলবশত ডিপ ওয়েবের কোনো লিংক-এ কোনো প্রকারে প্রবেশ করলে আপনার যাবতীয় তথ্য থেকে শুরু করে অনেক ক্ষেত্রে আপনার প্রাণহানিরও সম্ভবনা থেকেই যায়। অনেকেই ভাবতে পারেন এসব আবার কি যাতা কথা বলছে, গুগলে সব কিছু পাওয়া যায়, তাদের জন্যই বলা, যারা এই রকম ভাবছেন, আদতে GOOGLE এ শুধুমাত্র সম্পূর্ণ তথ্যের মাত্র 0.04(%) শতাংশ আছে (প্রায়)। বাইরের দেশে গবেষক, জার্নালিস্টরা তথ্য সংগ্রহের জন্য এই ডিপ ও ডার্ক ওয়েবের ব্যবহার করেন।
সাবধানতা অবলম্বনে ইন্টারনেটের ব্যবহার করুন। আপনি আলোতে বসবাসরত হলেও অন্ধকারটা অতীব ভয়ানক, যার সম্পর্কে অল্প বিস্তর জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী।
তথ্যসূত্র
Wikipedia
Serface Web Article
Deep Web Article
Dark Web Article
ডিপ ও ডার্ক ওয়েব
ডিপ ওয়েব হচ্ছে এমন একটি জগৎ যেখানে এমন কিছু তথ্য আছে যা গুগল বা ইয়াহুর মতো সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে প্রবেশ করা জায় না। ডিপ ওয়েব সাধারণত ব্যাঙ্কিং, ক্লাউড স্টোরেজ, সরকারি তথ্য, ওয়েব মেল বা অন্যান্য পেমেন্ট পরিষেবা (বিট কয়েনে) প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। ডিপ ওয়েব বা ডিপ নেট, HTTPS প্রোটোকলের পিছনে লুকানো, ডিপ ওয়েবে প্রবেশ করতে IP (Internet Protocol) Address দরকার হয়। আর ডিপ ওয়েবের আরও গভীরতম অংশ হচ্ছে ডার্ক ওয়েব। এই ডিপ ওয়েবের মধ্যেই ডার্ক ওয়েব অবস্থান করলেও তা আদতে থাকে লুকিয়ে, যাকে সহজে পাওয়া যায় না, ইন্টারনেটের বাকি প্রায় 96(%) শতাংশ ব্যবহৃত হয় এই ডিপ ও ডার্ক ওয়েবে। ডার্ক ওয়েবে মানুষ জন নিজের আসল পরিচয় লুকিয়ে নানা রকম অসামাজিক কাজ করেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। যেমন ড্রাগ ও অস্ত্র কেনা বেচা, সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ ঘটানো, হ্যাকিং, মানুষ খুন, চোরা চালান এর ডিল, অসামাজিক ভিডিও ( জীবন্ত মানুষের দেহ থেকে অঙ্গ বের করে নেওয়া, ধর্ষণ, পৈশাচিক অত্যাচার প্রভৃতি) এখানে পাওয়া যায়। আর এই সবকিছু থাকে সারফেস ওয়েবের আড়ালে। আমরা যেমন কোনো কিছু খোঁজার জন্য সারফেস ইঞ্জিনে .com, .org, .in, এই ধরনের ডোমেইন গুলির সাহায্য নিই, ডিপ ওয়েব বা ডার্ক ওয়েবে এই সব ডোমেইন দিয়ে প্রবেশ করা যায় না। ডিপ ও ডার্ক ওয়েবে প্রবেশের জন্য আলাদা ভাবে সার্চ ইঞ্জিন প্রস্তুত করা হয়েছে, যাকে আমরা TOR (The Onion Router) এখানে Onion বা পিয়াজ শব্দটি যুক্তিসঙ্গত এই অর্থে পিয়াজের যেমন একটি আবরণ উন্মচন হবার পর নতুন একটি আবরণ এর দেখা পাওয়া যায় ঠিক তেমনই এই TOR।
চিত্রঋণ - Wikipedia
এই ডিপ ও ডার্ক ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন গুলি Onion Service এর মাধ্যমে TOR এর সাথে যুক্ত হয়েছে, এবং .onion সমন্বিত লিংক এর মাধ্যমে কাজ করে চলে। আমার আপনার সাধারণ ব্রাউজারে দেখায়, সাধারণ ডোমেইন সার্ভিস লিংক যা WWW (WORLD WIDE WEB) এর সাথে যুক্ত, যা দিয়ে ভুলবশত ডিপ ওয়েবের কোনো লিংক-এ কোনো প্রকারে প্রবেশ করলে আপনার যাবতীয় তথ্য থেকে শুরু করে অনেক ক্ষেত্রে আপনার প্রাণহানিরও সম্ভবনা থেকেই যায়। অনেকেই ভাবতে পারেন এসব আবার কি যাতা কথা বলছে, গুগলে সব কিছু পাওয়া যায়, তাদের জন্যই বলা, যারা এই রকম ভাবছেন, আদতে GOOGLE এ শুধুমাত্র সম্পূর্ণ তথ্যের মাত্র 0.04(%) শতাংশ আছে (প্রায়)। বাইরের দেশে গবেষক, জার্নালিস্টরা তথ্য সংগ্রহের জন্য এই ডিপ ও ডার্ক ওয়েবের ব্যবহার করেন।
চিত্রঋণ - Wikipedia
সাবধানতা অবলম্বনে ইন্টারনেটের ব্যবহার করুন। আপনি আলোতে বসবাসরত হলেও অন্ধকারটা অতীব ভয়ানক, যার সম্পর্কে অল্প বিস্তর জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী।
তথ্যসূত্র
Wikipedia
Serface Web Article
Deep Web Article
Dark Web Article
Comments
Post a Comment
If you have any doubt, please let me know.