Posts

Showing posts from 2022

কলকাতার বুকে আজও অমলিন ব্রিটিশদের একমাত্র শ্মশান - শুভজিৎ দে

Image
শ্মশান কিংবা সমাধিস্থলকে কেন্দ্র করে মানুষের কৌতূহল চিরকালীন। বিশ্বব্যাপী লৌকিক-অলৌকিক নানা গল্প জড়িয়ে থাকে এসব জায়গা ঘিরে। জড়িয়ে থাকে বহু আবেগঘন মুহূর্তও। চেনা মানুষ, প্রিয়জনের পার্থিব শরীর ধুলোয় বিলীন হওয়ার আগে শেষবার সেখানে সশরীরে দেখার সুযোগ মেলে। জানলে অবাক হতে হয়, বিশ্বজুড়ে শেষকৃত্যের ধরন সংখ্যায় নেহাত কম নয়। কখনও ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে কখনও আবার নিছক বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সেই সব রকমফের জন্ম নিয়েছে। একসময়ে প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় রাজারাজরাদের কফিনবন্দি দেহের মধ্যে ওষুধ মাখিয়ে রাখা হত পিরামিডের অভ্যন্তরে। সেই দেহ অবিকৃত থাকত বছরের পর বছর। আবার খাস কলকাতার বুকেই ছিল পার্সিদের ‘টাওয়ার অফ সাইলেন্স’। প্রাচীন পারস্যের মানুষ ছিল অগ্নির উপাসক। প্রাচীন ইরানিরা মনে করত, মৃত্যুর পর দেহ আগুন কিংবা মাটির সংস্পর্শে এলে অপবিত্র হয়। তাই শেষকৃত্যের অন্য উপায় ভাবতে হবে। সেখান থেকেই ‘টাওয়ার অফ সাইলেন্স’-এর ভাবনা। খোলা আকাশের নীচে অনেকটা জায়গা নিয়ে তৈরি করা হত এক গোল মিনার। তার উচ্চতা ছিল দোতলা কিংবা তেতলা বাড়ির সমান। সেই মিনারের চওড়া ছাদে রেখে আসা হত মৃত মানুষের দেহ। এর পর কাক, চিল, শকুন ছিঁড়ে ছিঁড়ে খ