Posts

Showing posts from 2020

" মহালয়া অনুষ্ঠানটি " একবার নয়, দুইবার হয় - শুভজিৎ দে

Image
চিত্রঋণ - ইন্টারনেট মহালয়া কি আদৌ 'শুভ'? কাউকে 'শুভ মহালয়ার' শুভেচ্ছা জানানো কি আদৌ যুক্তিযুক্ত? এই নিয়ে মহালয়ার দিন এক পর্ব কথা কাটাকাটি হয় আমার এক বন্ধুর সাথে, চলে দুই পক্ষেরই যুক্তি দিয়ে কথা বলা, তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সেই দিন হয়নি। তাই ঠিক করি আজ লিখি বিষয়টা, আদতে হিন্দু বিশ্বাস মতে, এই সময় প্রেতলোক থেকে পিতৃপুরুষের আত্মারা ফিরে আসে এই মর্ত্যলোকে। সেই প্রয়াত পূর্বপুরুষদের স্মরণ করার দিনটিই হল মহালয়া। তিল-জল দিয়ে তর্পণ করে তাঁদের পরিতৃপ্ত করা হয় এই দিন। এই তর্পণ যেমন প্রয়াত বাবা-মা বা পূর্বপুরুষের জন্য, তেমনই সমগ্র জীবজগতের জন্যও (যে ভাবে আমরা প্রকৃতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছি)। তাই এ কথা বলাই চলে যে, এমন একটি দিন শুভ হলেও, তবে অন্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন পাঠাবার দিন কিন্তু মহালয়া নয়। এইদিন শুদ্ধ ও শান্ত মনে পূর্বপুরুষ ও মহিলা এবং স্বর্গীয় আত্মীয়স্বজনদের স্মরণ করার দিন। বিতর্কিত ঘটনা অবলম্বনে সিনেমার পোস্টার  উত্তমকুমারের ভূমিকায় যীশু সেনগুপ্ত ও  বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ভূমিকায় শুভাশিষ মুখোপাধ্যায় তবে, মহালয়ার এই দিনটি দুর্গাপুজোর আরম্ভ বলেই আজকের ফেস্টিভ্যাল ম

সুলতানার স্বপ্ন ও কল্পরাজ্য- শুভজিৎ দে

Image
সুলতানার স্বপ্ন ভারতবর্ষের অগ্রণী নারীবাদী লেখিকা রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রচিত একটি উপন্যাসিকা। গ্রন্থটি 1905 সালে মাদ্রাজের দ্য ইন্ডিয়ান লেডিজ ম্যাগাজিনে সুলতানাস ড্রিম শিরোনামে প্রথম প্রকাশিত হয়। 1908 সালে উপন্যাসিকাটি পুস্তক আকারে প্রকাশিত হয়। এটি ইংরেজি ভাষায় রচিত, বাংলা ভাষায় এটি প্রকাশিত হয় 1922 সালে। সুলতানার স্বপ্ন বইয়ের প্রচ্ছদ ও বেগম রোকেয়া এই উপন্যাসটির মূল বক্তব্য অনেকটা এইরকম, রাজা নয়, রাণীও পারেন কল্পলোককে নিয়ন্ত্রণ করতে, যেমন পেরেছেন বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’ নামক কল্পকাহিনীতে। রোকেয়া বন্দিনী ছিলেন। সেটা বোঝা যাবে তাঁকে যদি তাঁর পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে স্থাপন করি। জন্ম 1880 তে। কলকাতা থেকে অনেক দূরে, রংপুরে। পিতা ছিলেন বিত্তবান, কিন্তু অপব্যয়ী ও রক্ষণশীল। দুই ছেলেকে তিনি কলকাতায় রেখে সাহেবদের স্কুলে পড়িয়েছেন; কিন্তু মেয়েদের শিক্ষায় বিশ্বাস করতেন না। রোকেয়ার বিয়ে হয়েছে 16 বছর বয়সে। স্বামী উচ্চ শিক্ষিত, বিলেত গিয়েছিলেন ডিগ্রী আনতে, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন চাকরিতে, বেগম রোকেয়াকে উৎসাহিত করেছেন লিখতে। কিন্তু স্বামী ছিলেন উর্দুভাষী, থাকতেন তিনি বাঙলার বাইরে ভাগলপুরে। দুঃখ

ভারতের যুবক দধিচী যতীন দাস - শুভজিৎ দে

Image
তাঁর যখন বয়স 17, যুবক যতীন দাস অনুশীলন সমিতিতে বৈপ্লবিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত হলেন। 1921 সালে তিনি গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন। আজ তাঁর 91 তম মৃত্যুবার্ষিকী, তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই। যতীন দাসের মৃত্যু সংবাদ  লাহোরের সংবাদ পত্রে যতীন দাস বঙ্গবাসী কলেজের ছাত্র, তিনি গভীর ভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তী কালে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়মনসিংহের সেন্ট্রাল জেলে। যখন তিনি বন্দী ছিলেন সেই অবস্হায় দেখেন জেলবন্দীদের কিরকম খারাপ ও নোংরা পরিষেবা প্রদান করা হয়। জেলবন্দীদের সাথে কিভাবে বাজে ব্যবহার করা হয়। তিনি এর প্রতিবাদে 20 দিন ব্যাপী অনশন করলেন। 20 দিন পর জেল সুপারিটেন্ডেন্ট এর জন্য ক্ষমা চাইলে তিনি অনশন প্রত্যাহার করেন। সারা দেশ জুড়ে তখন বৈপ্লবিক কার্য্যকলাপ চলছে। সেসময় তিনি ভগৎ সিং এর আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বোম বাঁধার কর্মশালায় যোগদান করেন। শচীন্দ্র নাথ সান্যাল নামে একজন বিপ্লবী তাঁকে বোম বাঁধার শিক্ষা দেন। কিভাবে ফর্মূলা অনুযায়ী বোম বাঁধতে হয়। তিনি সেটির শিক্ষা দিলেন। 1929 সালের 14 ই জুন ব্রিটিশ পু

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 126 তম জন্মবার্ষিকী - শুভজিৎ দে

Image
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন অন্যতম লেখক ও ঔপ্যন্যাসিক। 1894 সালে আজকের দিনেই তিনি জন্মগ্রহণ করেন কল্যানীর কাছে মুরারীপুরে মামার বাড়িতে । তাঁর বাবার নাম  মহানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মায়ের নাম-মৃণালিনী দেবী। আজ তার 126 তম জন্মবার্ষিকী। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই। তাঁর লেখা বিখ্যাত একটি উক্তি  “সংসার যে কি ভয়ানক জায়গা, দুঃখে-কষ্টে না পড়লে বোঝা যায় না।”  এই সহজ কথার মাধ্যমে তিনি সংসারের মূলকথাটি তুলে ধরলেন। কথাসাহিত্যে বাঙালীর আকাশে হাজার তারার ভিড় সেই তারারা সকলেই নিজের জ্যোতিতে ভাস্বর। রবীন্দ্রসূর্য যখন সায়াহ্নে তখন বাংলার সাহিত্য আকাশে নিজের অনন্যতায় আগমন হয় বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের। তাঁর লেখনী যেমন শিশুমনকে আনন্দ দেয় , তেমনই প্রাপ্তবয়স্ক মনকেও ভাবায়। তবে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের পাঠকদের মধ্যে কিশোরদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। তাঁর প্রকৃতি প্রেম, তাঁর গল্পের গা ছমছমে ভাব আমাদের দেয় মনের আরাম। তাঁর সাহিত্য সম্ভার গোটা দুনিয়াকে মুগ্ধ করেছে। তাঁর সাহিত্যের সম্ভারে যে বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায় তা আমাদের অবাক করে, তেমনই

সম্মোহনের ইতিকথা - শুভজিৎ দে

Image
অনেক দিন থেকে তেমন কিছু লেখা হয় না, আদতে গতচার মাস ঘরের বাইরে যাওয়া হয়নি, তাই হয়তো সেভাবে পেন চলেনি, আজ ব্লগ লেখার অন্য একটি কারণ আছে আর তা হল আমার খুব পছন্দের একটি বিষয়, মাধ্যমিকের পর ভাই ও কিছু বন্ধুর সাথে এর চর্চা শুরু করি, আর এই পছন্দের বিষয় হচ্ছে সম্মোহন, স্কুলের ( গার্ডেনরীচ উচ্চমাধ্যমিক স্কুল ) গ্রন্থাগার থেকে একটি বই পেয়ে এই বিষয়ে অগ্রহের উদ্রেক হয়। বড়ির বড়দের অজান্তেই এই চর্চা চালাতাম, একদিন ধরা পড়ে যাওয়ায় তা বন্ধ করতে হয়, কিন্তু ততদিনে সেই বই থেকে বেশকিছু প্রণালী আমি লিখে নিয়েছিলাম, এবং তা প্রায় সেই সময় একপ্রকার মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। কালের নিয়মে পড়াশোনার আর খেলার  আড়ালে সম্মোহন চর্চা আর করা হয়ে ওঠেনি, তবে এতদিন পর পুরোনো বইখাতা গুছিয়ে দেখতে গিয়ে সেই সম্মোহন বিষয়ক প্রণালী লিখে রাখা খাতাটি খুঁজে পাই, তাই আজ ঠিক করলাম, সেই প্রণালীর গুলির সাথে সাথে এই বিষয়ের কিছু তথ্য ভাগ করেনি আপনাদের সাথে। মাধ্যমকে সম্মোহন করা হচ্ছে ইতিহাস বলে সম্মোহন বা হিপনোটিজম (HYPNOTISM) বেশ প্রাচীন বিদ্যা, ইতিহাসের পাতায় খুঁজে দেখলে এর পরিচয় পাওয়া যাবে জাদু বিদ্যা বলেই, এমনকি কেউ যদি অন্য কোনো ব্

100 তম জন্মবার্ষিকীতে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় - শুভজিৎ দে

Image
আজ তাঁর 100 তম জন্মবার্ষিকী, তবে কেই বা মনে রেখেছে এনাকে এখন সেভাবে ! সবার কাছেই ইনি কমেডিয়ান, কিন্তু অনেক নাম করা অভিনেতাও এনার অভিনয় দক্ষতার কাছে বেগ পেয়েছেন। একসময় সেভাবে কাজ না পেলেও, নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন দেননি, যাত্রা করেছেন সংসার চালাতে। আসলে মানুষকে আনন্দ দেওয়ার যে উপাদান, তা আমরা নিয়ে জন্মাই। পরে তা শানিত হয়।  সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জন্মেছেন, তখনই ওঁর মধ্যে উপাদানগুলো শানিত ছিল। ওঁকে যাঁরা কমেডিয়ান বলতেন, তাঁদের কাছে অন্য শব্দ ছিল না। সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায় কমেডিয়ান নন। তিনি একজন পূর্ণাঙ্গ অভিনেতা। ভাবছেন সাম্যময় আবার কে ? তিনি ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা চলচ্চিত্রের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেতা। বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে হাস্যকৌতুকময় অভিনয়ের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন দিকপাল। আসলে কমেডিয়ান হতে গেলে সব দিক পরিক্রমা করে আসতে হয়। যিনি হাসাতে পারেন, তিনি দর্শকের চোখে জলও আনতে পারেন। যেমন চার্লি চ্যাপলিন। দেখে হাসছেন, কিন্তু কখন যে চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়বে, বুঝতে পারবেন না। ভানু বন্দোপাধ্যায় তেমন। এছাড়াও আচার্য সত্যেন বোস এর অতিপ্রিয় ছাত্র ছিলেন সাম্যময়।  সাম্যময় ব

কলকাতার জন্মদিন ও বিতর্ক - শুভজিৎ দে

Image
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সত্যি কী কল্লোলিনী তিলোত্তমা কলকাতার 330 তম জন্মদিন আজ! না আমার এমনটা মনে হয় না। জব চার্নকের আগমনের সময় থেকে এতগুলি বছর পেরিয়ে জীবন্ত ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রয়েছে কলকাতা। 1690 সালের 24 অগস্ট এক মেঘলা দিনে কলকাতার মাটিতে পা রেখেছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলা জব চার্নক। জব চার্নক সেই দিনটি পালিত হয়ে আসছে কলকাতার জন্মদিন হিসাবে। তবে আমি আজ দিনটি কে কলকাতার জন্মদিনের থেকে জব চার্নকের কলকাতায় আগমনের 330 বছর বলতে পারি। কারণ জব চার্নকের মৃত্যুর 5 বছর পরে সাবর্ণ রায়চৌধুরী বংশের 5 জন জমিদারের কাছ থেকে কলকাতার তিনটি গ্রামের প্রজাস্বত্ত্ব কেনে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি 1698 সালের 10 নভেম্বর। তাহলে কলকাতার নির্মাণে জব চার্নকের ভূমিকা কী ? এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। পরবর্তী সময়ে কলকাতা হাইকোর্ট 5 জন ঐতিহাসিকের উপরে ভার দেন, কলকাতার জন্মদিনের গুজব পরীক্ষা করে দেখতে। সেই পাঁচজন ঐতিহাসিক হলেন, অধ্যাপক নিমাই সাধন বোস, অধ্যাপক বরুণ দে, অধ্যাপক প্রদ্বীপ সিনহা অধ্যাপক অরুণকুমার দাসগুপ্ত অধ্যাপক সুশীল চৌধুরী এই বিশিষ্ট ঐতিহাসিকেরা তাঁদের রিপোর্টে বলেন, কলকাতার প্রতি

দুর্গাকাহিনী : একটি প্রাসঙ্গীক আলোচনা - শুভজিৎ দে

Image
" আকাশে বাতাসে ভাসে আগমনীর সুর, সেই সুরে মিলে যায় দূর হতে দূর, " দেবী দুর্গা  স্মৃতির স্মরণি বেয়ে অতীতে গেলে মনে হবে বর্তমনে দুর্গাপূজা তার নব কলেবরে, সাজ সজ্জায়, চিন্তা চেতনায় পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে উৎসবে পরিণত হয়েছে। মন্ডপ সজ্জায় এসেছে থিম, সাযুজ্য রেখে পরিবর্তন এসেছে মূর্তির গঠনেও। একচালার সাবেকি দুর্গা, ও তার পরিবার আজ তিন বা পাঁচ চালায় বিভক্ত নিউক্লিয়ার পরিবারের মতো। তবে দুর্গাপূজার মাহাত্ম বাঙালির কাছে সেই একই আছে, তা সে দেশে হোক, বা বিদেশে, সাবেকি পোষাকে হোক, বা আধুনিক পোষাকে, আর দুর্গাপুজো মানেই কাশফুল, ঢাকের তাল, আগমনীর সুর, সেই সুরে মত্তো হয়ে জেনে নেওয়া যাক অতীতের কিছু কথা। দেবী দুর্গার প্রাচীন মূর্তি মা দুর্গার প্রতি বাঙালির একটি অধিকারবোধ জন্মে গিয়েছে, যদিও এই শরৎকালের দুর্গাপূজা শুরু করেছিলেন রামচন্দ্র, তার রাজত্ব ছিল উত্তর ভারতে, কিন্তু সমগ্র উত্তর ভারতের মানুষ দুর্গাপূজার থেকে দশেরাকে বেশি গুরুত্ব দেয়। সেক্ষেত্রে দেবী দুর্গার বাঙালিকরণ কীভাবে ঘটছে তা একটি প্রশ্ন। দেবী দুর্গার প্রাচীন মূর্তি দুর্গাপূজা প্রসঙ্গে হিন্দুশাস্ত্রে ও ইতি

সুরের জাদুকর ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান - শুভজিৎ দে

Image
ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেব যার কাছে ধর্ম কোনো দিন প্রাধান্য পায়নি, যিনি মন্দিরে নিয়মিত সঙ্গীত চর্চা করতেন, যার সানাইয়ের সুর ছাড়া কোনো শুভ বিবাহ সম্ভব নয়, যার কাছে সঙ্গীতই ছিল ধর্ম, আর তিনি হলেন ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেব, 21 শে মার্চ 1916 সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন, তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় সানাই বাদক। ভারতের উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। সানাইকে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বাদনের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে এই অমর শিল্পী ভারতের উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতে ওস্তাদ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে তিনি তৃতীয় যাঁরা ভারতরত্ন পদক পেয়েছেন। তিনি ছিলেন অল্পসংখ্যক গুণীদের মধ্যে একজন যিনি ভারতের চারটি সর্বোচ্চ বেসামরিক পদকে সম্মানিত হয়েছেন। ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেব  সঙ্গীত পরিবেশন করছেন সানাইকে ভারতের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত জগতের যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবার একক কৃতিত্ব ভারতের উচ্চাঙ্গ ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেবের। 1937 সালে কলকাতায় অল ইন্ডিয়া মিউজিক কনফারেন্সে সানাই বাজিয়ে একে ভারতীয় সঙ্গীতের মূল মঞ্চে নিয়ে আসেন। 1950 সালের 26শে জানুয়ারি দ

মোহনবাগানের শিল্ড জয় ও রবীন্দ্রনাথ - শুভজিৎ দে

Image
চিত্রঋণ - Wikipedia আই এফ এ শিল্ড জয়ী মোহনবাগান দল হীরালাল মুখার্জি, ভুতি সুকুল, সুধীর চ্যাটার্জি, মনমোহন মুখার্জি, রাজেন সেনগুপ্ত, নীলমাধব ভট্টাচার্য, কানু রায়, হাবুল সরকার, অভিলাশ ঘোষ, বিজয়দাস ভাদুড়ী, শিবদাস ভাদুড়ী (অধিনায়ক) আজ মোহনবাগান ক্লাবের শিল্ড জয়ের 109 তম বছর। এশিয়ার প্রথম দেশ যারা ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থেকে এক ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব কে পরাস্ত করে। তবে এখনে বলে রাখা দরকার মোহনবাগানের আগে ইউরোপিয়ান ক্লাবকে হারানোর কৃতিত্ব "শোভাবাজার ক্লাবের" 1892 ট্রেডস কাপ প্রতিযোগীতায় ইস্ট সারে কে হারিয়ে দেয় শোভাবাজার। বাঙালি বুঝতে পারে, ইংরেজকে হারানো সম্ভব। 1911 সালে মোহনবাগানের শিল্ড জয়ের আগে কোনও বাঙালি ক্লাবের এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য। কিন্তু পরবর্তীকালে সবাই মাথা ঠুকেছিলো মোহনবাগানের শ্রেষ্ঠত্বের কাছে। এই শিল্ড জয়ের 100 বছর উপলক্ষে কয়েক বছর আগে, ‘এই সময়’ সংবাদপত্রে “দে গোল গোল” বলে একটি কবিতা ছেপেছিল। অনেকে ভেবেছিল কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের লেখা। আসলে ওটি ছিল রবীন্দ্রনাথের ‘ঝুলন’ কবিতার প্যারডি। যে কবিতার বিখ্যাত লাইন “দে দোল দোল।”  চিত্রঋণ - Wikipedia তবে রবিঠ