Posts

Showing posts from 2021

জন্ম নিলেন দেবতা : হাইকোটেশ্বর - শুভজিৎ দে

Image
ট্রেনযাত্রায় দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেতে চান তবে আপনার জন্য আছেন লাইনেশ্বর  (কাঁকুরগাছির), হিন্দমোটরে কিছু বেকারযুবক শিবমন্দির নির্মাণ করার পরই তারা চাকরি পান, সেই থেকে সেই শিব ঠাকুরের নাম হয় বেকারেশ্বর , মামলা-মোকদ্দমা থেকে রেহাই পেতে চান ? তবে দেখা করুন হাইকোর্ট এলাকায় চেম্বার খুলেছেন হাইকোটেশ্বর ,   কলেজ পড়ুয়াদের সাপ্লির হাত থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য এই কলকাতায় আছেন স্বয়ং গ্রাজুয়েটেশ্বর , ও কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ এলাকায় মানুষের চিন্তা দূর করার জন্য আছেন চিন্তানিবারণেরশ্বর, জানি না আর কোথায় কে আছেন ! চিত্রঋণ - বৈদ্যুতিন গনমাধ্যম চলুন উল্লিখিত এই পাঁচবন্ধুর এক বন্ধুর কথা আজ জানা যাক, আজ আমরা আলোচনা করতে চলেছি হাইকোটেশ্বর মহাদেবকে নিয়ে। কথায় আছে, বাঙাল কে হাইকোর্ট দেখাচ্ছ ? একদমই ঠিক বাঙালীদের হাইকোর্ট চেনাবার প্রয়োজন পরে না, তবে বিষয়টি যদি হাইকোটেশ্বরকে নিয়ে হয়ে থাকে তবে তাঁকে চেনাবার দরকার আছে অবশ্যই। এতোক্ষণে বোঝাই যাচ্ছে আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় যিনি তাঁর নিবাস হাইকোর্ট এলাকাতেই।  কলকাতা হাইকোর্ট এই হাইকোর্ট ভবনটি নির্মিত হয়েছে 1872 সালে, এখন যেখানে হাইকোর্ট আগে তার একাংশ ছিল সুপ্রিম কোর

শৌখিনতা ও ইতিহাসের আড়ালে গ্যালিফ স্ট্রিট - শুভজিৎ দে

Image
চিত্রঋণ - Instagram কলকাতা বাংলার ষষ্ঠতম রাজধানী। বর্তমানে এই শহর প্রাসাদনগরী, কখনবা City of JOY এমন নানা অভিধায় ভূষিত হয়ে থাকে, বর্তমানের কলকাতা জোব চার্নকের আমলের শিয়ালদহে ঐতিহাসিক বৈঠকখানায় গাছতলায় বসে হুঁকো খাওয়ার কলিকাতা আর নয়। বর্তমানে কলকাতার অনেক রাস্তা ও অলিগলি জন্মছে সেই সব রাস্তার অনেক গুলির নামের সাথে জুড়ে রয়েছে ইতিহাস ও কিছু প্রচলিত গল্প, গল্প কেন বললাম, তার কারণ অনেক ঘটনার ঐতিহাসিক সত্যতা এখনও পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি তাই। যাই হোক তেমনই কিছু রাস্তা আমার এই লেখনী পর্বের বিষয়, আজ যে রাস্তা নিয়ে আলোচনা করছি তা হয়তো অনেকেরই জানা, যাদের পোষ্য বা বাহারি ফুল, গাছ দিয়ে বাড়ি সাজাবার নেশা আছে তারা একবার এখানে গেছেন নিশ্চই। আর এই রাস্তাটি হচ্ছে গ্যালিফ স্ট্রিট। চিত্রঋণ - Instagram গ্যালিফ স্ট্রিট এই রাস্তাটি পশ্চিম দিকে পেরিন পয়েন্ট (বর্তমানে গঙ্গার ওপরে চিৎপুরের ঝুলন্ত ব্রিজ) থেকে শ্যামবাজার ব্রিজ (যেটাকে এখন দমদম ব্রিজ বলা হয়) পুবে কর্নওয়ালিস স্ট্রিটের ক্রসিং পর্যন্ত। এই রাস্তাটি বাগবাজার খাল বরাবর চলেছে। এই খালটি 1824 সালে খনন করা হয়। স্যার গ্যালিফ ছিলেন কলকাতার কালেক্টর ও

গার্ডেনরীচ মুদিয়ালী হাই স্কুল - শুভজিৎ দে

Image
আজ (09-03-2021) গার্ডেনরীচ মুদিয়ালী হাই স্কুলের 165 তম জন্মবার্ষিকী, এই স্কুলের ছাত্র হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি, স্কুলকে কিছু উপহার দেওয়ার ক্ষমতা আজও আমার হয়নি, পরেও কোনো দিন তা হবে না, কথায় আছে না মাতৃঋণ পরিশোধ যোগ্য নয়, ঠিক তেমনই স্কুলের ঋণ শোধ করা এ জীবনে সম্ভব নয়, না চাইতেই স্কুল আমায় পরিচিতি দিয়েছে জেলা ও রাজ্য জুড়ে কবাডি প্রশিক্ষক হিসেবে, যা আমার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। তাই স্কুলের জন্মদিনে তাকে নিয়ে লেখার একটি ছোট্ট প্রচেষ্টা করছি বহুদিন ধরে, যার বহিঃপ্রকাশ আজ হচ্ছে।  গার্ডেনরীচ মুদিয়ালী স্কুলের বহু বছর আগের প্রবেশ পথ প্রথমেই বলে রাখি এলাকার ও স্কুলের এমন নাম, অর্থাৎ মুদিয়ালী কেন হল ? যদিও তা নিয়ে জনসমাজে একটি গল্প প্রচলিত আছে, আর তা হল এক সময়ে এই অঞ্চলে মহম্মদ আলী নামক এক ব্যক্তির মুদিখানার দোকান ছিল, সে মারা যাওয়ার পর এই অঞ্চলের নাম লোকমুখে মুদিয়ালী হয়ে ওঠে তার নাম ও দোকানকে মাথায় রেখে, তবে ঠিক কোথায় তার দোকান ছিল তা জানা যায়নি, তবে মুদিয়ালী মোরেই গার্ডেনরীচ মুদিয়ালী স্কুলটি অবস্থিত আজ ও। গার্ডেনরীচ মুদিয়ালী স্কুলের বর্তমান প্রবেশ পথ যদিও, তখন কলকাতা শহর আজকের মতো এতো জমজমাট

অতীতের রত্নচক থেকে বর্তমানের পাথরা : এক নিশ্চিত মৃত্যু থেকে উৎরে যাওয়ার কাহিনী - শুভজিৎ দে

Image
পাথরার ঐতিহ্য অনেকদিন আগে থেকেই ঠিক ছিল মন্দির শহর পাথরা ঘুরতে যাওয়ার, কিন্তু বাধসাধে লকডাউন, তাই নতুন বছরের প্রথম ভ্রমণ এখান থেকেই শুরু করার একটা সুপ্ত ইচ্ছা ছিল মনে মনে, আর সেই মোতাবেক সন্ধান শুরু করি এখানে পৌঁছাবো কি ভাবে ! প্রথমেই বলি মন্দির শহরের থেকেও বেশী গ্রামটির নাম আমায় আকর্ষণ করেছিল, আমার মনের ভিতর জন্ম দিয়েছিল নানা ধরনের প্রশ্নের। জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি গ্রামটির আদিনাম রত্নচক বা রতনচক সেখান থেকেই আজকের পাথরা, তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন নামকরণের ইতিহাস। মন্দির অলংকরণ ও স্থাপত্য পাথরা মন্দির শহরের বর্ণনা জনার আগে পাথরার নামকরণের পটভূমি জানা দরকার, খ্রিঃ ষোড়শ শতাব্দীর শেষ দিকে রচিত 'আইন-ই-আকবরী' গ্রন্থ থেকে জানা যায় সমকালীন ওড়িশা পাঁচটি সরকারে বিভক্ত ছিল, যার অন্যতম সরকার জলেশ্বরের অধীনে। যেখানে মেদিনীপুর জেলার সমগ্র অংশ ছিল, আর সেই মেদিনীপুর জেলা 120টি পরগণা নিয়ে গঠিত হয়েছিল, বলা যেতে পারে রত্নচক পরগণা ঐ 120টি পরগণার একটি। এছাড়াও জানা যায় যে, মেদিনীপুর জেলার এই এলাকাটি তাম্রলিপ্ত বিভাগের অন্তর্গত ছিল। 1971 সালের মেদিনীপুর জেলা হ্যান্ডবুক থেকে জানা যায় যে, 120টি পরগণা

ভ্যালেন্টাইন্স ডে : প্রেম দিবস না শোকদিবস - শুভজিৎ দে

Image
Happy Valentine's Day আজ শুধুই যে প্রেম দিবস এমনটা কিন্তু নয়, আজকের দিনেই 2019 সালে পুলওয়ামায় সেনার কনভয়ে হামলা চালায় কিছু সমাজশত্রুরা, প্রাণ হারান অনেকেই। আজ দিনটির শুরু তাদের স্মরণ করেই করা ঠিক, তবে এই শোকাহত দিনটির জন্য আমাদের প্রেম দিবস পালন না করার তেমন কোনো অর্থ নেই। পুলওয়ামা ঘটনার আগে পর্যন্ত এই দিনটিকে ভগৎ সিং রাজগুরু শুকদেব এর মৃত্যু দিন বলে মানুষের মধ্যে মিথ্যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে। যুদ্ধ ও প্রেম একে অপরের পরিপূরক, তা বলে কোনো একটির জন্য অপরটি বাদ দেওয়া আমার মতে ঠিক না, জানি অনেকেই এর সমালোচনা করবেন। আবার অন্য দিকে আজ মুঘল সম্রাট বাবরের 538 তম জন্মবার্ষিকী ও বটে। তাই দিনটি নানাভাবেই খুবই প্রাসঙ্গিক, যদিও অনেকে গত এক সপ্তাহ ধরে তার প্রিয়তম বা প্রিয়তমাকে প্রেম নিবেদন করে চলেছে নানা ভাবে, আজ হচ্ছে সেই প্রেম সপ্তাহের শেষ দিন, যে দিন সবাই তার প্রিয় মানুষটির থেকে সেই চির প্রত্যাশিত শব্দটি শুনবে, তবে জানেন কি এই ভ্যালেইটাইন কে ? কি ভাবে সূচনা হল এই দিনটির! তবে চলুন জেনে নিই সেই অজানা তথ্য। অনেকের মতে এটি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স এর দেহাংশ 269 সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাই

শুধু কি দিন আর তারিখ ! নাকি মিল পাওয়া যাবে ঘটনারও ? - শুভজিৎ দে

Image
অনেক দিন সেভাবে কিছু লেখা হয়ে ওঠেনি, অন্যান্য কাজের চাপে, তবে একটি অদ্ভুত বিশেষ ঘটনা আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করতে আজকের এই লেখার অবতরণের অবশ্যিকতা বলে আমার মনে হয়েছে। তাই দীর্ঘদিনের বিরতির পর আজ আবার ব্লগ লেখা, গত বছর অর্থাৎ 2020 আমাদের অনেক কিছুর শিক্ষা দিয়েছে। সে সব কিছু ভুলে না গেলেও আজ আমাদের দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে 2021 ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন, আজ থেকে সূচনা হচ্ছে এক নতুন দশকের, আর আপনাকে আমি জানাই ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। HAPPY NEW YEAR অনেক মানুষের ছেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে, নক্ষত্র পতন ঘটেছে একের পর এক,  এর মাঝে কোরোনা মহামারী, এই শতাব্দীর অন্যতম প্রানঘাতক আতঙ্ক যা সারা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়িয়েছে এবং বেড়াচ্ছে, চীনের উহান প্রদেশ থেকে যার জন্ম, হয়তো আগামী প্রজন্ম বায়ো ওয়ার করবে একে অন্যের সাথে, তারই ধারাবাহিকতার এটা সূচনা বলা যেতে পারে, কোরোনা কালে সকলেই গৃহবন্দি হয়ে যায় ভারত সরকারের ঘোষনায়, প্রথমে 21 দিনের গৃহবন্দি থাকার কথা ঘোষিত ও কোরোনা মহামারী নির্মূলের ঘোষনা হলেও পর্যায়ক্রমে গৃহবন্দি জীবনের মেয়াদ বৃদ্ধি পেতে থাকে,   পর্যায়ক্রম 1 : 25শে মার্চ 2020 থেকে 14ই এপ্রিল 2020 (21 দি