Posts

Showing posts from September, 2020

ভারতের যুবক দধিচী যতীন দাস - শুভজিৎ দে

Image
তাঁর যখন বয়স 17, যুবক যতীন দাস অনুশীলন সমিতিতে বৈপ্লবিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত হলেন। 1921 সালে তিনি গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন। আজ তাঁর 91 তম মৃত্যুবার্ষিকী, তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই। যতীন দাসের মৃত্যু সংবাদ  লাহোরের সংবাদ পত্রে যতীন দাস বঙ্গবাসী কলেজের ছাত্র, তিনি গভীর ভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তী কালে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়মনসিংহের সেন্ট্রাল জেলে। যখন তিনি বন্দী ছিলেন সেই অবস্হায় দেখেন জেলবন্দীদের কিরকম খারাপ ও নোংরা পরিষেবা প্রদান করা হয়। জেলবন্দীদের সাথে কিভাবে বাজে ব্যবহার করা হয়। তিনি এর প্রতিবাদে 20 দিন ব্যাপী অনশন করলেন। 20 দিন পর জেল সুপারিটেন্ডেন্ট এর জন্য ক্ষমা চাইলে তিনি অনশন প্রত্যাহার করেন। সারা দেশ জুড়ে তখন বৈপ্লবিক কার্য্যকলাপ চলছে। সেসময় তিনি ভগৎ সিং এর আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বোম বাঁধার কর্মশালায় যোগদান করেন। শচীন্দ্র নাথ সান্যাল নামে একজন বিপ্লবী তাঁকে বোম বাঁধার শিক্ষা দেন। কিভাবে ফর্মূলা অনুযায়ী বোম বাঁধতে হয়। তিনি সেটির শিক্ষা দিলেন। 1929 সালের 14 ই জুন ব্রিটিশ পু

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 126 তম জন্মবার্ষিকী - শুভজিৎ দে

Image
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন অন্যতম লেখক ও ঔপ্যন্যাসিক। 1894 সালে আজকের দিনেই তিনি জন্মগ্রহণ করেন কল্যানীর কাছে মুরারীপুরে মামার বাড়িতে । তাঁর বাবার নাম  মহানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মায়ের নাম-মৃণালিনী দেবী। আজ তার 126 তম জন্মবার্ষিকী। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই। তাঁর লেখা বিখ্যাত একটি উক্তি  “সংসার যে কি ভয়ানক জায়গা, দুঃখে-কষ্টে না পড়লে বোঝা যায় না।”  এই সহজ কথার মাধ্যমে তিনি সংসারের মূলকথাটি তুলে ধরলেন। কথাসাহিত্যে বাঙালীর আকাশে হাজার তারার ভিড় সেই তারারা সকলেই নিজের জ্যোতিতে ভাস্বর। রবীন্দ্রসূর্য যখন সায়াহ্নে তখন বাংলার সাহিত্য আকাশে নিজের অনন্যতায় আগমন হয় বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের। তাঁর লেখনী যেমন শিশুমনকে আনন্দ দেয় , তেমনই প্রাপ্তবয়স্ক মনকেও ভাবায়। তবে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের পাঠকদের মধ্যে কিশোরদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। তাঁর প্রকৃতি প্রেম, তাঁর গল্পের গা ছমছমে ভাব আমাদের দেয় মনের আরাম। তাঁর সাহিত্য সম্ভার গোটা দুনিয়াকে মুগ্ধ করেছে। তাঁর সাহিত্যের সম্ভারে যে বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায় তা আমাদের অবাক করে, তেমনই

সম্মোহনের ইতিকথা - শুভজিৎ দে

Image
অনেক দিন থেকে তেমন কিছু লেখা হয় না, আদতে গতচার মাস ঘরের বাইরে যাওয়া হয়নি, তাই হয়তো সেভাবে পেন চলেনি, আজ ব্লগ লেখার অন্য একটি কারণ আছে আর তা হল আমার খুব পছন্দের একটি বিষয়, মাধ্যমিকের পর ভাই ও কিছু বন্ধুর সাথে এর চর্চা শুরু করি, আর এই পছন্দের বিষয় হচ্ছে সম্মোহন, স্কুলের ( গার্ডেনরীচ উচ্চমাধ্যমিক স্কুল ) গ্রন্থাগার থেকে একটি বই পেয়ে এই বিষয়ে অগ্রহের উদ্রেক হয়। বড়ির বড়দের অজান্তেই এই চর্চা চালাতাম, একদিন ধরা পড়ে যাওয়ায় তা বন্ধ করতে হয়, কিন্তু ততদিনে সেই বই থেকে বেশকিছু প্রণালী আমি লিখে নিয়েছিলাম, এবং তা প্রায় সেই সময় একপ্রকার মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। কালের নিয়মে পড়াশোনার আর খেলার  আড়ালে সম্মোহন চর্চা আর করা হয়ে ওঠেনি, তবে এতদিন পর পুরোনো বইখাতা গুছিয়ে দেখতে গিয়ে সেই সম্মোহন বিষয়ক প্রণালী লিখে রাখা খাতাটি খুঁজে পাই, তাই আজ ঠিক করলাম, সেই প্রণালীর গুলির সাথে সাথে এই বিষয়ের কিছু তথ্য ভাগ করেনি আপনাদের সাথে। মাধ্যমকে সম্মোহন করা হচ্ছে ইতিহাস বলে সম্মোহন বা হিপনোটিজম (HYPNOTISM) বেশ প্রাচীন বিদ্যা, ইতিহাসের পাতায় খুঁজে দেখলে এর পরিচয় পাওয়া যাবে জাদু বিদ্যা বলেই, এমনকি কেউ যদি অন্য কোনো ব্