Posts

শুধু কি দিন আর তারিখ ! নাকি মিল পাওয়া যাবে ঘটনারও ? - শুভজিৎ দে

Image
অনেক দিন সেভাবে কিছু লেখা হয়ে ওঠেনি, অন্যান্য কাজের চাপে, তবে একটি অদ্ভুত বিশেষ ঘটনা আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করতে আজকের এই লেখার অবতরণের অবশ্যিকতা বলে আমার মনে হয়েছে। তাই দীর্ঘদিনের বিরতির পর আজ আবার ব্লগ লেখা, গত বছর অর্থাৎ 2020 আমাদের অনেক কিছুর শিক্ষা দিয়েছে। সে সব কিছু ভুলে না গেলেও আজ আমাদের দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে 2021 ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন, আজ থেকে সূচনা হচ্ছে এক নতুন দশকের, আর আপনাকে আমি জানাই ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। HAPPY NEW YEAR অনেক মানুষের ছেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে, নক্ষত্র পতন ঘটেছে একের পর এক,  এর মাঝে কোরোনা মহামারী, এই শতাব্দীর অন্যতম প্রানঘাতক আতঙ্ক যা সারা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়িয়েছে এবং বেড়াচ্ছে, চীনের উহান প্রদেশ থেকে যার জন্ম, হয়তো আগামী প্রজন্ম বায়ো ওয়ার করবে একে অন্যের সাথে, তারই ধারাবাহিকতার এটা সূচনা বলা যেতে পারে, কোরোনা কালে সকলেই গৃহবন্দি হয়ে যায় ভারত সরকারের ঘোষনায়, প্রথমে 21 দিনের গৃহবন্দি থাকার কথা ঘোষিত ও কোরোনা মহামারী নির্মূলের ঘোষনা হলেও পর্যায়ক্রমে গৃহবন্দি জীবনের মেয়াদ বৃদ্ধি পেতে থাকে,   পর্যায়ক্রম 1 : 25শে মার্চ 2020 থেকে 14ই এপ্রিল 2020 (21 দি

" মহালয়া অনুষ্ঠানটি " একবার নয়, দুইবার হয় - শুভজিৎ দে

Image
চিত্রঋণ - ইন্টারনেট মহালয়া কি আদৌ 'শুভ'? কাউকে 'শুভ মহালয়ার' শুভেচ্ছা জানানো কি আদৌ যুক্তিযুক্ত? এই নিয়ে মহালয়ার দিন এক পর্ব কথা কাটাকাটি হয় আমার এক বন্ধুর সাথে, চলে দুই পক্ষেরই যুক্তি দিয়ে কথা বলা, তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সেই দিন হয়নি। তাই ঠিক করি আজ লিখি বিষয়টা, আদতে হিন্দু বিশ্বাস মতে, এই সময় প্রেতলোক থেকে পিতৃপুরুষের আত্মারা ফিরে আসে এই মর্ত্যলোকে। সেই প্রয়াত পূর্বপুরুষদের স্মরণ করার দিনটিই হল মহালয়া। তিল-জল দিয়ে তর্পণ করে তাঁদের পরিতৃপ্ত করা হয় এই দিন। এই তর্পণ যেমন প্রয়াত বাবা-মা বা পূর্বপুরুষের জন্য, তেমনই সমগ্র জীবজগতের জন্যও (যে ভাবে আমরা প্রকৃতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছি)। তাই এ কথা বলাই চলে যে, এমন একটি দিন শুভ হলেও, তবে অন্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন পাঠাবার দিন কিন্তু মহালয়া নয়। এইদিন শুদ্ধ ও শান্ত মনে পূর্বপুরুষ ও মহিলা এবং স্বর্গীয় আত্মীয়স্বজনদের স্মরণ করার দিন। বিতর্কিত ঘটনা অবলম্বনে সিনেমার পোস্টার  উত্তমকুমারের ভূমিকায় যীশু সেনগুপ্ত ও  বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ভূমিকায় শুভাশিষ মুখোপাধ্যায় তবে, মহালয়ার এই দিনটি দুর্গাপুজোর আরম্ভ বলেই আজকের ফেস্টিভ্যাল ম

সুলতানার স্বপ্ন ও কল্পরাজ্য- শুভজিৎ দে

Image
সুলতানার স্বপ্ন ভারতবর্ষের অগ্রণী নারীবাদী লেখিকা রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রচিত একটি উপন্যাসিকা। গ্রন্থটি 1905 সালে মাদ্রাজের দ্য ইন্ডিয়ান লেডিজ ম্যাগাজিনে সুলতানাস ড্রিম শিরোনামে প্রথম প্রকাশিত হয়। 1908 সালে উপন্যাসিকাটি পুস্তক আকারে প্রকাশিত হয়। এটি ইংরেজি ভাষায় রচিত, বাংলা ভাষায় এটি প্রকাশিত হয় 1922 সালে। সুলতানার স্বপ্ন বইয়ের প্রচ্ছদ ও বেগম রোকেয়া এই উপন্যাসটির মূল বক্তব্য অনেকটা এইরকম, রাজা নয়, রাণীও পারেন কল্পলোককে নিয়ন্ত্রণ করতে, যেমন পেরেছেন বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’ নামক কল্পকাহিনীতে। রোকেয়া বন্দিনী ছিলেন। সেটা বোঝা যাবে তাঁকে যদি তাঁর পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে স্থাপন করি। জন্ম 1880 তে। কলকাতা থেকে অনেক দূরে, রংপুরে। পিতা ছিলেন বিত্তবান, কিন্তু অপব্যয়ী ও রক্ষণশীল। দুই ছেলেকে তিনি কলকাতায় রেখে সাহেবদের স্কুলে পড়িয়েছেন; কিন্তু মেয়েদের শিক্ষায় বিশ্বাস করতেন না। রোকেয়ার বিয়ে হয়েছে 16 বছর বয়সে। স্বামী উচ্চ শিক্ষিত, বিলেত গিয়েছিলেন ডিগ্রী আনতে, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন চাকরিতে, বেগম রোকেয়াকে উৎসাহিত করেছেন লিখতে। কিন্তু স্বামী ছিলেন উর্দুভাষী, থাকতেন তিনি বাঙলার বাইরে ভাগলপুরে। দুঃখ

ভারতের যুবক দধিচী যতীন দাস - শুভজিৎ দে

Image
তাঁর যখন বয়স 17, যুবক যতীন দাস অনুশীলন সমিতিতে বৈপ্লবিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত হলেন। 1921 সালে তিনি গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন। আজ তাঁর 91 তম মৃত্যুবার্ষিকী, তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই। যতীন দাসের মৃত্যু সংবাদ  লাহোরের সংবাদ পত্রে যতীন দাস বঙ্গবাসী কলেজের ছাত্র, তিনি গভীর ভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তী কালে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়মনসিংহের সেন্ট্রাল জেলে। যখন তিনি বন্দী ছিলেন সেই অবস্হায় দেখেন জেলবন্দীদের কিরকম খারাপ ও নোংরা পরিষেবা প্রদান করা হয়। জেলবন্দীদের সাথে কিভাবে বাজে ব্যবহার করা হয়। তিনি এর প্রতিবাদে 20 দিন ব্যাপী অনশন করলেন। 20 দিন পর জেল সুপারিটেন্ডেন্ট এর জন্য ক্ষমা চাইলে তিনি অনশন প্রত্যাহার করেন। সারা দেশ জুড়ে তখন বৈপ্লবিক কার্য্যকলাপ চলছে। সেসময় তিনি ভগৎ সিং এর আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বোম বাঁধার কর্মশালায় যোগদান করেন। শচীন্দ্র নাথ সান্যাল নামে একজন বিপ্লবী তাঁকে বোম বাঁধার শিক্ষা দেন। কিভাবে ফর্মূলা অনুযায়ী বোম বাঁধতে হয়। তিনি সেটির শিক্ষা দিলেন। 1929 সালের 14 ই জুন ব্রিটিশ পু

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 126 তম জন্মবার্ষিকী - শুভজিৎ দে

Image
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন অন্যতম লেখক ও ঔপ্যন্যাসিক। 1894 সালে আজকের দিনেই তিনি জন্মগ্রহণ করেন কল্যানীর কাছে মুরারীপুরে মামার বাড়িতে । তাঁর বাবার নাম  মহানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মায়ের নাম-মৃণালিনী দেবী। আজ তার 126 তম জন্মবার্ষিকী। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই। তাঁর লেখা বিখ্যাত একটি উক্তি  “সংসার যে কি ভয়ানক জায়গা, দুঃখে-কষ্টে না পড়লে বোঝা যায় না।”  এই সহজ কথার মাধ্যমে তিনি সংসারের মূলকথাটি তুলে ধরলেন। কথাসাহিত্যে বাঙালীর আকাশে হাজার তারার ভিড় সেই তারারা সকলেই নিজের জ্যোতিতে ভাস্বর। রবীন্দ্রসূর্য যখন সায়াহ্নে তখন বাংলার সাহিত্য আকাশে নিজের অনন্যতায় আগমন হয় বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের। তাঁর লেখনী যেমন শিশুমনকে আনন্দ দেয় , তেমনই প্রাপ্তবয়স্ক মনকেও ভাবায়। তবে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের পাঠকদের মধ্যে কিশোরদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। তাঁর প্রকৃতি প্রেম, তাঁর গল্পের গা ছমছমে ভাব আমাদের দেয় মনের আরাম। তাঁর সাহিত্য সম্ভার গোটা দুনিয়াকে মুগ্ধ করেছে। তাঁর সাহিত্যের সম্ভারে যে বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায় তা আমাদের অবাক করে, তেমনই

সম্মোহনের ইতিকথা - শুভজিৎ দে

Image
অনেক দিন থেকে তেমন কিছু লেখা হয় না, আদতে গতচার মাস ঘরের বাইরে যাওয়া হয়নি, তাই হয়তো সেভাবে পেন চলেনি, আজ ব্লগ লেখার অন্য একটি কারণ আছে আর তা হল আমার খুব পছন্দের একটি বিষয়, মাধ্যমিকের পর ভাই ও কিছু বন্ধুর সাথে এর চর্চা শুরু করি, আর এই পছন্দের বিষয় হচ্ছে সম্মোহন, স্কুলের ( গার্ডেনরীচ উচ্চমাধ্যমিক স্কুল ) গ্রন্থাগার থেকে একটি বই পেয়ে এই বিষয়ে অগ্রহের উদ্রেক হয়। বড়ির বড়দের অজান্তেই এই চর্চা চালাতাম, একদিন ধরা পড়ে যাওয়ায় তা বন্ধ করতে হয়, কিন্তু ততদিনে সেই বই থেকে বেশকিছু প্রণালী আমি লিখে নিয়েছিলাম, এবং তা প্রায় সেই সময় একপ্রকার মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। কালের নিয়মে পড়াশোনার আর খেলার  আড়ালে সম্মোহন চর্চা আর করা হয়ে ওঠেনি, তবে এতদিন পর পুরোনো বইখাতা গুছিয়ে দেখতে গিয়ে সেই সম্মোহন বিষয়ক প্রণালী লিখে রাখা খাতাটি খুঁজে পাই, তাই আজ ঠিক করলাম, সেই প্রণালীর গুলির সাথে সাথে এই বিষয়ের কিছু তথ্য ভাগ করেনি আপনাদের সাথে। মাধ্যমকে সম্মোহন করা হচ্ছে ইতিহাস বলে সম্মোহন বা হিপনোটিজম (HYPNOTISM) বেশ প্রাচীন বিদ্যা, ইতিহাসের পাতায় খুঁজে দেখলে এর পরিচয় পাওয়া যাবে জাদু বিদ্যা বলেই, এমনকি কেউ যদি অন্য কোনো ব্

100 তম জন্মবার্ষিকীতে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় - শুভজিৎ দে

Image
আজ তাঁর 100 তম জন্মবার্ষিকী, তবে কেই বা মনে রেখেছে এনাকে এখন সেভাবে ! সবার কাছেই ইনি কমেডিয়ান, কিন্তু অনেক নাম করা অভিনেতাও এনার অভিনয় দক্ষতার কাছে বেগ পেয়েছেন। একসময় সেভাবে কাজ না পেলেও, নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন দেননি, যাত্রা করেছেন সংসার চালাতে। আসলে মানুষকে আনন্দ দেওয়ার যে উপাদান, তা আমরা নিয়ে জন্মাই। পরে তা শানিত হয়।  সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জন্মেছেন, তখনই ওঁর মধ্যে উপাদানগুলো শানিত ছিল। ওঁকে যাঁরা কমেডিয়ান বলতেন, তাঁদের কাছে অন্য শব্দ ছিল না। সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায় কমেডিয়ান নন। তিনি একজন পূর্ণাঙ্গ অভিনেতা। ভাবছেন সাম্যময় আবার কে ? তিনি ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা চলচ্চিত্রের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেতা। বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে হাস্যকৌতুকময় অভিনয়ের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন দিকপাল। আসলে কমেডিয়ান হতে গেলে সব দিক পরিক্রমা করে আসতে হয়। যিনি হাসাতে পারেন, তিনি দর্শকের চোখে জলও আনতে পারেন। যেমন চার্লি চ্যাপলিন। দেখে হাসছেন, কিন্তু কখন যে চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়বে, বুঝতে পারবেন না। ভানু বন্দোপাধ্যায় তেমন। এছাড়াও আচার্য সত্যেন বোস এর অতিপ্রিয় ছাত্র ছিলেন সাম্যময়।  সাম্যময় ব