আন্দুল রাজার বাড়ির গল্প - শুভজিৎ দে
আমি যদিও সাইকেল নিয়েই গিয়েছিলাম, তাও কলকাতা থেকে গাড়ি করে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগে যেতে। আন্দুল রোড ধরে আন্দুল পৌঁছে যাকেই জিজ্ঞেস করা যায়, রাজবাড়ির কথা সে-ই বলে দেবে। ট্রেনে করে গেলে, হাওড়া থেকে লোকাল ট্রেনে আন্দুল নেমে রিক্সা বা টোটো করে আন্দুল রাজবাড়ি। (আন্দুল রাজবাড়ি ও বিশাল মাঠ) আসলে আমার বাবার মামারবাড়ি হাওড়ার মানিকপুর অঞ্চলে, আমার ঠাকুমা মানিকপুর জমিদার বাড়ির মেয়ে, আমার ঠাকুমার ঠাকুরদা রামলোচন কর ছিলেন আন্দুল রাজবাড়ির এক নায়েব । সেই সূত্রে এবং যেহেতু হাওড়া জেলার আগামী দিনের বাসিন্দা তাই নিজের চারিপাশের ইতিহাস তুলে ধরা কর্তব্য। সেই কর্তব্যবোধ থেকে আজকের লেখা আন্দুল রাজবাড়ি । (আন্দুল রাজবাড়ির সাথে নিজ্স্বী) ১৮৩০ সালে রাজা রামনারায়ণ রায় বাড়িটি তৈরির কাজ শুরু করেন। কাজ চলে ১৮৩৪ পর্যন্ত। পেল্লাই এই প্রাসাদের সর্বাঙ্গে এখন জীর্ণতার ছাপ। বাড়ির সামনে কেবল মাঝের অংশে গোটা ১২ স্তম্ভ, একেকটি প্রায় ৬০ ফুট উঁচু। এটি এক সময়ের নাচঘর। এই অংশে, ভিতরে এককালে ছিল ২০টি বাহারি স্তম্ভ। উপর থেকে ঝুলত ঝাড়বাতি। নামী বাঈজি, নর্তকীদের মজলিস লেগেই থাকত। এই ভবনের দু’পাশে তিন তলা দুটি ভব...