Posts

মুকুটটা তো পড়েই আছে রাজাই শুধু নেই - শুভজিৎ দে

Image
" স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজের, আজ আর নেই, জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই, আজ আর নেই, " তবে তার সুরের জাদুতে মেতে ছিল আট থেকে আশি সকলে, যার গান আজও এই প্রজন্মকে ভাবায়, হাসায় আবার কখনও কখনও কাঁদায়ও। হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটি সহ অজস্র ভাষায় তিনি ছ'দশক ধরে গান গেয়েছেন। ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গীত জগৎ-এ অন্যতম একজন শিল্পী, আজ থেকে 101 বছর আগে আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন সঙ্গীত শিল্পী, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক শ্রী প্রবোধচন্দ্র দে। হ্যাঁ, এই নামটির সাথে অনেকেই আমরা পরিচিত নই, তিনি আমাদের কাছে চিরপরিচিত মান্না দে নামে। আজ মে দিবসের পাশাপাশি মান্না দে'র 101তম জন্মবার্ষিকী। প্রবোধচন্দ্র দে চিত্রঋণ - Wikipedia (কাকা) কৃষ্ণচন্দ্র দে'র অনুপ্রেরণায় প্রবোধচন্দ্রের সঙ্গীত জগৎ এ প্রবেশ ঘটে, 1942 সালে তিনি বর্তমান মুম্বাই এ যান। সেখানে প্রথমে কাকা (কৃষ্ণচন্দ্র দে) ও পরে শচীনদেব বর্মনের সহকারী হিসাবে কাজ করেন, এই একই সময় তিনি শিক্ষাগুরু হিসেবে সান্নিধ্য পান ওস্তাদ আমান আলী খান ও ওস্তাদ আব্দুল রহমান খানের, যাঁদের থেকে তিনি হিন্দুস্ত

এঁদোগলির গার্সটিন বিল্ডিং থেকে আজকের আকাশবাণী - শুভজিৎ দে

Image
Major General John Garstin (1756–1820) Bengal Engineers চিত্রঋণ - British Library. আগে বাড়িটির নাম ছিল গার্সটিন বিল্ডিংস। হেয়ার স্ট্রিটের কাছে এক এঁদোগলির মধ্যে অবস্থিত। কাউন্সিল হাউস স্ট্রিটে সেন্ট জনস চার্চের অপরদিকে অবস্থিত বাড়িগুলোর যে নাম, এর নাম ও তাই। পুরনো নথিপত্র থেকে জানা যায় যে, এখানে 1700 থেকে 1763 সাল পর্যন্ত কোম্পানির একটি হাসপাতাল ছিল। সেটাই ওদের প্রথম হাসপাতাল, আলেকজান্ডার হ্যামিলটন বলেছিলেন, " এই হাসপাতালে অনেক রোগী চিকিৎসার ঠেলা সামলাতে যেত, কিন্তু সেটা কীরকম  সে অভিজ্ঞতা বলার মতো লোকজন প্রায় দেখাই যেত না।" তখন ঐ এঁদো গলিটা দিয়ে স্থানীয় মানুষজন চলা ফেরা করত, এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় তাকে আর এঁদো গলি বলা চলে না। সেই সময় ঐ অঞ্চলের সব বাড়িকেই বলা হত গার্সটিন বিল্ডিংস। অল ইন্ডিয়া রেডিওর পুরনো অফিস ওয়ারেন হেস্টিংসের খুব কাছের বন্ধু ছিলেন মেজর জেনারেল গার্সটিন, তিনি এক সময় বাংলার সার্ভেয়ার জেনারেল পদে উন্নীত হয়েছিলেন, তিনি ছিলেন বাংলার ষষ্ঠ সার্ভেয়ার জেনারেল (1808-1813) কলকাতার টাউন হল আর পাটনার বাঁকপুরের গোলার নকশা তাঁর করা, 1792 সালে ওল্ড কোর্ট

রমাবাঈ থেকে পণ্ডিতা রমাবাঈ সরস্বতী হয়ে ওঠার কাহিনি : 162 তম জন্মবার্ষিকীতে রমাবাঈ - শুভজিৎ দে

Image
নারী শিক্ষা, নারী মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়নের বিরুদ্ধেও তাঁর প্রতিবাদী কণ্ঠ ছিল সব সময় সোচ্চার। পুরুষতান্ত্রিক ও কুসংকারাচ্ছন্ন এই সমাজ মেধা, মনন, পরিশ্রম ও সাহসিকতা দিয়ে যুগে যুগে যেসব নারীরা আজকের সামাজিক অবস্থান তৈরি করেছেন, নারীর তথা সমাজের যাত্রা করেছিলেন গতিশীল, পন্ডিতা রমাবাঈ তাদের মধ্যে একজন। আজ তাঁর 162 তম জন্মবার্ষিকী। চিত্রঋণ - Wikipedia ভারতের মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের গুণমলের অরণ্যে পন্ডিতা রমাবাঈ জন্মগ্রহণ করেন। রামাবাঈয়ের পিতা অতন্ত শাস্ত্রী একজন শিক্ষিত ব্রাহ্মণ ছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্ত বুদ্ধির একজন সমাজ সংস্কারক। তখন নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ ছিল রমাবাঈ-এর পিতা অনন্ত শাস্ত্রী তার বালিকা বধূকে শিক্ষা দানের উদ্যোগ নেয়ার তৎকালীন ব্রাহ্মণ সমাজের রোষানলে নিপতিত হন। এই সময় অনন্ত শাস্ত্রী গ্রাম ছেড়ে বনাঞ্চলে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। এই নির্বাসিত জীবনে গুণমলের অরণ্যে জন্মগ্রহণ করেন পন্ডিতা রমাবাঈ, 23শে এপ্রিল, 1858  সালে জন্মগ্রহণ করেন। 1877 সালের দুর্ভিক্ষে রামাবাঈয়ের পিতা ও মাতা অনন্ত শাস্ত্রী ও লক্ষী বাঈ উভয়েই মারা যান। পিতা-মাতার মৃত্যুর পর রামাবাঈ ও তার ভাইকে নিয়ে পিতার পথ ধ

জহিরউদ্দিন বাবর ও প্রথম পানিপথের যুদ্ধের 494 বছর - শুভজিৎ দে

Image
" ও এক দুর্ভাগ্যবান, যে পেয়েও থাকতে চায়নি এ দেশের মাটিতে সমাধিস্ত, আর আমি এক দুর্ভাগ্যবান, যে চেয়েও পাচ্ছি না দু'গজ জমি থাকার মত " শুরু করলাম এক দুর্ভাগ্যবানের একটি কথা দিয়ে, এ কথা তিনি জীবনের শেষ সময়, নির্বাসনে থাকাকালীন জেলের দেওয়ালে লিখে গেছেন, তিনি আর কেউ নন, আজ থেকে বহু বছর আগে ভারত ইতিহাসে যিনি নতুন যুগের সূচনা করেন, সেই মির্জা জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবর এর উত্তর পুরুষ, শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর, যার শাসন শেষ হবার মাধ্যমে 331 বছরের ঐতিহ্য অস্তমিত হয়। হটাৎ কেন আজ মুঘল দের কথা বলছি, সে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, আদতে আজ থেকে 494 বছর আগে এই ভারতের মাটিতে মুঘল সাম্রাজ্যের ইমারত নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল পানিপথের প্রথম যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে, আজ ফিরে দেখা সেই যুদ্ধ জয়ের ইতিহাস। চিত্রঋণ - Wikipedia ঐতিহাসিক এই পানিপথে তিনবার যুদ্ধ হয়। প্রথম যুদ্ধ হয়েছিল 1526 সালে, দ্বিতীয়টি 1556 ও তৃতীয়টি 1761 সালে। পানিপথের প্রথম যুদ্ধে  জাহিরউদ্দিন বাবর দিল্লির আফগান সুলতান ইব্রাহিম লোদীকে পরাস্ত করে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। অবসান ঘটান ভারতে লোদী বংশের শাসনকালের, দিনটি

মহাশূন্যে প্রথম পা রাখার 45 বছর - শুভজিৎ দে

Image
বিজ্ঞানের প্রধান স্তম্ভ যে দুটি তা হচ্ছে দশমিক ও শূন্য। আর তার আবিষ্কর্তা হচ্ছেন এক ভারতীয় বিজ্ঞানী নাম তার আর্যভট্ট। যদিও তার এই আবিষ্কার নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, তা নিয়ে মতের ভিন্নতা থাকলেও আমরা আর্যভট্টকেই তার আবিষ্কর্তা মনে করে থাকি। E= mc2 বা নিউটনের যে সূত্রে বিজ্ঞান আজ আবর্তিত হয়ে চলেছে তা অনেকটাই অধরা থেকে যেত যদি শূন্য ও দশমিক আবিষ্কার না হত। সেই আর্যভট্টের নামেই তাই ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ নামাঙ্কিত হয় তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ।  চিত্রঋণ - Wikipedia ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত ‘নাইকে-অ্যাপাচে’ নামে দ্বিস্তরীয় এক রকেট (প্রথম রকেট) কেরলের ছোট্ট জেলেদের গ্রাম থুম্বা থেকে সাফল্যের সঙ্গে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশে প্রথম স্বাক্ষর রেখেছিল।তিরুবনন্তপুরমের প্রান্তসীমায় অবস্থিত থুম্বা অক্ষীয় রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে সেই সময় কোন বাড়ি ছিল না। সেখানকার বিশপের বাড়ি থেকে অধিকর্তার অফিস হিসেবে কাজ চালানো হত। প্রাচীন সেন্ট মেরি ম্যাকডালিন গির্জা ভবনটিকে কন্ট্রোল রুম হিসেবে ব্যবহার করা হত এবং 1963-র 21 নভেম্বর খালি চোখে রকেটের ধোঁয়ার লাইনে নজর রাখা হয়েছিল। গরুর গাড়ি এবং

211 তম জন্মবার্ষিকীতে ডিরোজিও, তবু আজও সে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের আদর্শ - শুভজিৎ দে

Image
হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও আজ থেকে 211 বছর আগে জন্মগ্রহণ করেন 18ই এপ্রিল, 1809 সালে। তাঁর অল্পবিস্তারিত এ জীবনে তিনি যা করেছিলেন তা আজও আদর্শ হয়ে আছে। পঞ্চদশ শতকের দিকে শিল্প-সাহিত্য, বিজ্ঞান ও দর্শনের মৌলিক কিছু বিষয় নিয়ে পাশ্চাত্যে নবজাগরণের সৃষ্টি হয়। পাশ্চাত্যের নবজাগরণের ডাক এসেছিল ইতালিতে। এরই ফলশ্রুতি মানুষ সন্ধান করতে চেয়েছিল নতুন জীবনের, উন্মোচিত করতে চেয়েছিল অন্ধকার দূরীকরণের আলোক দ্যুতি। আর এই উন্মেচিত আলোক দ্যুতিই ইউরোপে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নবজাগরণের সৃষ্টি করে। চিত্রঋণ - Wikipedia ইউরোপে সৃষ্ট নবজাগরণ বাংলায় আসে এক ইউরোপিয়ানেরই হাত ধরে। তার রক্তে ইউরোপ থাকলেও তিনি নিজেকে দাবি করতেন একজন খাঁটি বাঙালি হিসেবে। বাঙলার জন্য অবাধ-নিরপেক্ষ আমরণ সংগ্রাম তিনি চালিয়েছেন। তিনি আর কেউ নন বাংলার নবজাগরনের পুরোধা পুরুষ, ইয়ংবেঙ্গলের প্রাণপুরুষ হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও। বিদেশি শাসকদের শোষণে-নিপীড়িত বাঙালির চিন্তা-চেতনা না পেরেছে স্বাধীনতা অর্জন করতে, না পেরেছে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে। আর এই সব সংকট কালীন মুহূর্ত থেকে বাঁচাবার মতো মহান সাধক বাঙালির ভাগ্য

সরস্বতী রাজমণি থেকে স্পাই মণি হয়ে ওঠা - শুভজিৎ দে

Image
স্বাধীনতা আজ দেখতে দেখতে সিনিয়ার সিটিজেন হতে চলল। দেশবাসীর মন থেকে হয়তো মুছে গেছে তার স্মৃতি।  হয়ত অনেকেই নাম শোনেননি, কিন্তু নেতাজি ঘনিষ্ঠ এই ‘স্পাই’ ছিলেন এক কন্যে,  এককথায় ব্রিটিশদের আতঙ্ক ছিলেন তিনি। ভিয়েতনামে এক বিপ্লবী পরিবারের ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ সরস্বতী রাজামনি, ভিয়েতনাম মুক্তি যুদ্ধের একটি শ্লোগান, তোমার নাম আমার নাম, ভিয়েতনাম ভিয়েতনাম। তার কিছুটা রেশ এই মেয়ের মধ্যে পড়েছিল, মাত্র ১০ বছরের এই মেয়ের হাতে বন্দুক দেখে চমকে গিয়েছিলেন স্বয়ং মহাত্মা গাঁধী। জানতে চেয়েছিলেন, কী হবে বন্দুক দিয়ে? উত্তরে ছিল আরও চমকপ্রদ, যা সুচারুভাবে স্থির করেছিল এই মেয়ের ভবিতব্য, সেই খুদে মেয়ে উত্তর দিয়েছিল, সে বড় হয়ে বন্দুক দিয়ে ব্রিটিশদের মারবে! তাঁকে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি। মাত্র ষোলো বছর বয়সেই কিশোরী দেশসেবায় উৎসর্গ করেছিলেন নিজেকে। তাঁর হাতে ব্রিটিশ সাহেবের প্রাণ যায়নি ঠিকই। কিন্তু দেশকে স্বাধীন করার পিছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল কিশোরী গুপ্তচর সরস্বতী রাজামণির। সরস্বতী রাজমণি চিত্রঋণ -Wikipedia সে কালের বর্মা, আজকের মায়ানমারে তাঁর জন্ম ১৯২৭ সালে। জন্মগত নাম ছিল রাজামণি।