Posts

উপনিবেশবাদ বিরোধী অগ্নিযুগের প্রারম্ভিক পর্বের অন্ধকারে নিমজ্জিত মহিলা বিপ্লবী - শুভজিৎ দে

Image
ননীবালা দেবী এবং দুকড়িবালা দেবী অগ্নীযুগের প্রথম মহিলা বিপ্লবী শহিদ হিসেবে প্রথম যে নামটি সবাই বলে, সে হলেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার । কিন্তু বলে রাখা প্রয়োজন যে অগ্নিযুগের প্রারম্ভিক পর্বের বিপ্লবী প্রীতিলতা নন, তিনি যাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতা অন্দোলোনে আসেন তাঁরা আজ সমাজের চোখে হারিয়ে গেছেন, রযেগেছেন অপাঙ্ক্তেয় হিসেবে । আসলে সব সময়ই কিছু মানুষ অন্ধকারে থেকে যান, ঠিক যেমনটি প্রদ্বীপ সমস্ত ঘরকে আলোকিত করলেও, সেই প্রদ্বীপ তার নিচে হওয়া অন্ধকারকে আলোর মুখ দেখাতে পারে না । বিপ্লব বা সশস্ত বিপ্লব অনেক দিন আগে শুরু হলেও সেই পর্বে কেউ মারা গেলেও আমরা সেইসব নিয়ে ভাবি না, কারণ আমাদের প্রয়োজন হয় একটি মাইলফলকের বা আমরাই তাকে মাইলফলক তৈরী করি । এবং সেটাই আমরা বয়ে নিয়েযাই ঐতিহ্য ও ইতিহাস রূপে । সেই মাইলফলকের আগে থাকা সংখ্যা বা দুরত্বের যেমন কোনো গুরুত্ব থাকে না, ঠিক তেমনই প্রীতিলতার আলোর তেজে অন্ধকারে হারিয়েগেছেন এনারা । এমনই দুজন হলেন ননীবালা দেবী ও দুকড়িবালা দেবী । যাঁরা এই অগ্নিযুগের প্রারম্ভিক পর্বের মহিলা বিপ্লবী । এখানে তাঁদের সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া চেষ্টা করছি । ননীবাল

What is HISTORY ? : Different views of Historians. - Subhajit Dey

The English word ‘History’ is derived from their Greek noun ‘Historia’. ‘History’ or ‘Historia’ simply means ‘enquiry’ or ‘research’. The term ‘History’ has been taken from the German word ‘Geschichle’ means an intelligible and significant narration of the past events. Infact development of history started with the ancient Greek historians such as Herodotus and Thucydides. Herodotus popularly known as the ‘Father of History’ wrote about the Graeco-Persian wars this contains a mine of information including those relating to the ancient Egyptians and Persians. Thucidides developed this subjects on scientific lines. He wrote the “Pelopenesian Wars’ on the basis of evidence and showed the relation between causes and effects or results. Thomas Charlyle “World History is a biography of great men”. Prof. Renier: “History is the memories of societies.” Will Durant: “History is a narrative of what civilized men have thought or done in past time.” E.H. Carr: “History is an unending

দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত ভুক্তির উদ্যোগ ও বিতর্ক - শুভজিৎ দে

Image
১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর, তথা দেশবিভাগের পর ভারত দুই ধরণের অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল; ব্রিটিশ ভারতের প্রদেশসমূহ ও দেশীয় রাজ্যসমূহ। এই প্রদেশসমূহকে ব্রিটিশ কোম্পানি শাসন করত। অন্যদিকে, উক্ত দেশীয় রাজ্যসমূহের উপরেও ব্রিটিশ সরকারের কর্তৃত্ব বিস্তৃত ছিল, তবে সেখানে শাসন করত উক্ত অঞ্চলের নিজস্ব শাসকেরাই। এছাড়াও ভারত ভূখণ্ডে ফ্রান্স ও পর্তুগালদ্বারা শাসিত কিছু ঔপনিবেশিক কলোনিও ছিল। ভারতে এই অঞ্চলগুলোর রাজনৈতিক একত্রীকরণ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম ঘোষিত লক্ষ্য ছিল। পরবর্তী দশকে ভারত সরকার এই লক্ষ্যকেই অনুসরণ করে চলে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং ভপ্পলা পঙ্গুন্নি মেনন ভারতের সাথে একীভূত হবার জন্য বিভিন্ন দেশীয় রাজ্যের শাসকদের জোর দেন। ভারতে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হলে ধাপে ধাপে এই রাজ্যগুলোর উপর কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা ও প্রশাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৬ সালের পরে এই দেশীয় রাজ্যগুলি আর ব্রিটিশ শাসিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে তেমন কোনো তফাত ছিল না। ক্রমশ, ভারত সরকার কিছু কূটনৈতিক ও সামরিক উপায়ে দ্য ফ্যাক্টো এবং দ্য জ্যুরে-এর মাধ্যমে অবশিষ্ট ঔপনিবেশিক কলোনিগুলোর উ

পতিতাবৃত্তির জন্ম ও বিবর্তন - শুভজিৎ দে

Image
ছবি প্রতিকী এই পেশার জন্মলগ্ন কবে? ইতিহাস তা সঠিকভাবে আমাদের জানাতে পারেনা। তবে এই পেশাকে আদিম বলতে আমি সম্মত নই। আদিম বলতে আমরা যা বুঝে থাকি, সৃষ্টির সূচনা থেকে চলে আসা। তবে এই পতিতাবৃত্তি নতুনও নয়, আবার আদিমও নয়। মনুষ্য জাতির সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে পরিবর্তনের হাওয়ায় তাল মিলিয়ে আমাদের জীবনযাত্রার মান আধুনিকতার দিকে এগিয়ে গেছে, এবং সেখান থেকেই পতিতাবৃত্তি –র সূচনা। গবেষকদের চোখে এমন কোনো দলিল এখনও আসে নি, যার উপর ভিত্তি করে এই পেশাকে আদিম বলা যায়। তবে, যৌনাচার যে ছিল না এমনও নয়। একথা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে যে, “পতিতাবৃত্তি” পরিপূর্ণ পেশা হিসেবে সমাজ বিবর্তনের বহু পরে শুরু হয়েছে। এনসাইক্লোপেডিয়া বৃটানিকা গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, “যৌনাচার সমাজে প্রচলিত ছিল এমন সমাজ আদিতে দেখা যায় না।”১ তবে প্রাচীন ভারত, মধ্য প্রাচ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় অদ্ভূত অদ্ভূত কিছু নিয়মের কারনে নারী জাতিকে বহুভোগ্যা হতে হত। উদাহরণ স্বরুপ ভারতীয় শাস্ত্রীয় গ্রন্থ থেকে দ্রপদীর কথা বলা যেতে পারে। যদিও এই বহুভোগ্যা বিষয়টিকে একটি অর্থে বোঝাবার জন্য সরাসরি ‘পতিতাবৃত্তি’ বলা যাবে না। তবে এই ধরনের ‘সমাজ ব্যবস্থা’ –র ফলে অ

প্রথম বারের জন্য প্রদর্শিত কিছু জৈন প্রত্ন সামগ্ৰী - শুভজিৎ দে

Image
16 থেকে 18 মার্চ 2018 জৈন প্রত্নসামগ্রী নিয়ে এক বিশেষ প্রদর্শনী হয় ভারতীয় জাদুঘরে, আগে কখনও প্রদর্শিত হয়নি এমন জৈন তীর্থঙ্করদের ১১টি মূর্তি জাদুঘরের ভল্ট থেকে বের করা হয় মাত্র ওই তিন দিনের জন্য৷ জৈন তীর্থঙ্করদের প্রাচীন মূর্তি নিয়ে এমন প্রদর্শনী কলকাতায় প্রথম।  জাদুঘরের শিক্ষা অধিকর্তা সায়ন ভট্টাচার্য তিন দিনের এই বিশেষ প্রদর্শনী প্রসঙ্গে বলেন, আমরা ১১টা এমন জৈন প্রত্নসামগ্রী প্রদর্শন করব, যা আগে কেউ দেখেননি৷ এই মূর্তিগুলো এতদিন জাদুঘরের স্ট্রংরুমে ছিল৷ তিন দিন প্রদর্শনীর পরে ফের সেখানেই ফিরে যাবে৷  (সূত্র - এই সময় খরব কাগজ) উৎসাহীদের সামনে প্রথম বারের জন্য যে সব মূর্তি আসে, তার মধ্যে ছিল- পিতলের তৈরি দ্বাদশ শতাব্দীর একটি পার্শ্বনাথের মূর্তি৷ ব্রোঞ্জের তৈরি ঋষভনাথের তিনটি মূর্তি৷ দশম শতাব্দীর দু’টি ব্রোঞ্জের তীর্থঙ্কর মূর্তি৷ দশম বা একাদশ শতাব্দীতে পাথর কেটে তৈরি শান্তিনাথের একটি মূর্তি৷ এ ছাড়া নবম থেকে একাদশ শতাব্দীর মধ্যে তৈরি পাথর ও ব্রোঞ্জের দু’টি মূর্তি এবং আনুমানিক দশম শতাব্দীতে তৈরি পাথরের একটি ‘চতুর্মুখ’৷ ঐ তিন দিন ধরে চলা আলোচনাসভা ও প্রদর্শনী নিয়ে দিগ

ইতিহাস প্রসঙ্গে - শুভজিৎ দে

Image
মানুষের জীবন বহুমুখী , কখনো সে রাজনীতির দোরগোড়ায় , কখন ও বা বাঁচার তাগিদে বা ভোগের প্রলোভনে অর্থ উপার্জনে ব্যাস্ত হয়ে পরে . কখন যে সংস্কৃতি চর্চা করে আবার কখনো বা সমাজের আর পাঁচজনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে , আবার কখনো কখনো ঐহিক সুখ ছেড়ে মানুষ আধ্যাত্মিক পথে পা বাড়ায়, মানুষ তথা মনুষ্য সমাজের বিচিত্র গতি প্রকৃতির বর্ণনা ও বিশ্লেষণ হলো ইতিহাস, ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে ইংরেজি "HISTORY" শব্দটির প্রসঙ্গ ওঠা স্বাভাবিক, সাধারণ ভাবে আমরা ইংরেজি শব্দ "HISTORY" অর্থে ইতিহাস ব্যবহার করে থাকি, ইংরেজি "HISTORY" শব্দের মূল অর্থ অনুসন্ধান বা গবেষণা, সেই অর্থে "ইতিহাস" ও "HISTORY" শব্দদুটি ঠিক এক নয়, ইংরেজি "HISTORY" গ্রীক "HISTORIA" শব্দ হতে উদ্ভূত, আবার লাতিন শব্দ "HISTOR"(হিস্টর) থেকে "HISTORY" বা "হিস্ট্রি" শব্দটি এসেছে, “HISTOR”(হিস্টর) কথার অর্থ হলো জ্ঞান, উল্লেখ্য গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস 'হিস্ট্রি' শব্দটি প্রথম   ব্যবহার করেছিলেন এবং তারপর ধী